আনুষ্ঠানিকভাবে অ্যানড্রয়েড-কিউ এর অফিশিয়াল নাম ঘোষণা করেছে গুগল। এতোদিন অ্যানড্রয়েড ভার্সনের নাম হয়েছে মিস্টির নামে। এবার সরাসরি সংখ্যা ব্যবহার করে অ্যানড্রয়েড-কিউ এর নাম রাখা হল অ্যানড্রয়েড ১০।
এরই মধ্যে নতুন এ অপারেটিং সিস্টেম কয়েক দফা ডেভেলপার ও পাবলিক বেটা সংস্করণে প্রকাশিত হয়েছে। সামনে এসেছে এই এর কিছু ফিচার।
ডার্ক মোড: এই ফিচারটি প্রথমে পাবলিক বেটা ভার্সনে রিলিজ করা হয়েছিল। পরে গুগলের আইও ডেভেলপার সম্মেলনে ফিচার নিশ্চিত করা হয়। সেটিংসে ব্যাটারি ট্যাব থেকে ডার্ক থিম চালু করা যাবে। গুগল গত কয়েক মাসে তাদের কিছু অ্যাপে এ মোড যুক্ত করেছে।
লোকেশন: অ্যানড্রয়েড ১০ সংস্করণে প্রাইভেসি সুরক্ষার বিষয়কে গুরুত্ব দিচ্ছে গুগল। অ্যাপে লোকেশন অ্যাকসেস যাতে ব্যবহারকারীরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে সে বিষয়টি যুক্ত করা হচ্ছে। এ ছাড়া লোকেশন সেবা চালু বা বন্ধ করার সুবিধার পাশাপাশি কোনো অ্যাপে অনুমতি ছাড়া লোকেশন সেবা চালু হবে না, সেটাও নিশ্চিত করা হয়েছে।
ফাস্ট শেয়ার: অ্যানড্রয়েড ১০-এর সঙ্গে নতুন একটি ফিচার নিয়ে আসছে গুগল। এই ফিচারের সাহায্যে ইউজাররা খুব সহজেই ফাইল শেয়ার করতে পারবে। এই ফিচারে নাম ফাস্ট শেয়ার।
ব্যাটারি নির্দেশক: এই মুহূর্তে বাজারে যতো স্মার্টফোন রয়েছে তার প্রায় সবগুলোতেই কত শতাংশ চার্জ রয়েছে তা দেভায়। কিন্তু অ্যানড্রয়েড ১০-এ আপনি জানতে পারবেন আপনার ফোন কতক্ষণ চলবে।
বিভিন্ন রঙের থিম: ইউজার ইন্টারফেসে (ইউআই) পরিবর্তন আনার পাশাপাশি বিভিন্ন রঙের থিম ব্যবহার করার সুযোগ দিতে পারে অ্যানড্রয়েড ১০।
ওয়াইফাই: ব্যবহারকারীকে প্রতিবার পাসওয়ার্ড টাইপ করতে হবে না। কিউআর কোড ব্যবহার করেই ওয়াই-ফাই ব্যবহার করা যাবে। এতে ওয়াই-ফাই সেবাদাতাকে বারবার পাসওয়ার্ড বলার প্রয়োজনও পড়বে না।
অডিও-ভিডিও ফরম্যাট: অ্যানড্রয়েড ১০-এ টেনে আরও বেশি ভিডিও কোডেক সমর্থন করবে। এতে ব্যবহারকারীরা তাঁদের মোবাইল ফোনে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও ও অডিও শুনতে পারবেন।
ডেস্কটপ মোড: অ্যানড্রয়েড ১০-এ থাকবে বিশেষ ডেস্কটপ মোড। যা হ্যান্ডসেটকে সহজে ডেস্কটপের সঙ্গে যুক্ত করা যাবে। এতে কাজে আরও বেশি গতিশীলতা বাড়বে।